সূচিপত্র
Toggleত্বকের ক্ষতি ছাড়াই মেকআপের টিপস-
মেয়েদের জন্য মেকআপ এমনই একটি শক্তিশালী হাতিয়ার, যা আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজেকে উপস্থাপন করতে সাহায্য করে। তবে মেকআপ আমাদের মুখে জেল্লা এনে দেয় ঠিকই কিন্তু এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি ত্বকের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ, তার মধ্যে আপনার ত্বক যদি সেনসিটিভ হয় তাহলে তো কথাই নেই। তাই মেকআপ করেও স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে মেনে চলতে হবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস।
মেকআপ করার আগে ত্বককে প্রস্তুত করে নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার ত্বকের ওপর একটা ঢাল হিসাবে কাজ করে এবং মেকআপের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে ত্বককে বাঁচাতে সাহায্য করে। সুতরাং আপনি নিচের পদক্ষেপগুলি অনুসরন করে ত্বককে বাঁচাতে পারেন।
আপনার স্কিন টাইপ অনুযায়ী একটি ক্লিনজার বাছুনঃ
সংবেদনশীল অথবা যে কোন ত্বকের জন্য একটি সঠিক ক্লিনজার নির্বাচন করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য একটি লো পিএইচ ব্যালান্সড ক্লিনজার বেছে নিন, যা সবসময় আমাদের ত্বকের ওপর সুন্দর কাজ করে আপনার স্কিঙ্কে মসৃণ করে তোলে। একটা সময় এসে অথবা মুখ ক্লিন করার ঠিক পরপরই ত্বক প্রচন্ড শুষ্ক হয়ে যায়, তখন এই ধরণের ক্লিনজার আমাদের ত্বককে হাইড্রেট করতে সহায়তা করে।
আমাদের ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য সাধারণত ৪.৫ থেকে ৬- এর মধ্যে থাকে, সুতরাং এমন যে কোনও ক্লিনজার বেছে নিতে পারেন, যার পিএইচ ভারসাম্য ৫ বা ৫.৫। যদি স্কিন ব্রনযুক্ত হয় তবে কম পিএইচ ব্যালেন্স-যুক্ত ক্লিনজার আপনার পক্ষে সবচেয়ে ভালো।
তবে যদি আপনার নর্মাল স্কিন হয়, যেমন খুব শুষ্ক নয় এবং খুব তৈলাক্তও নয়, তবে এমন কোনও ক্লিনজার বেছে নিন যা আপনার ত্বকের পক্ষে সবচেয়ে উপযুক্ত। এখন আপনার জন্য উপযুক্ত ক্লিনজার বাছাই করার পরে এটি আপনার মুখ এবং ঘাড়ে প্রয়োগ করুন, প্রোডাক্টের গায়ে বর্ণিত নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন এবং আপনার মুখ এবং ঘাড় ভালো করে পরিষ্কার করে ফেলুন।
এক্সফোলিয়েট স্ক্রাব ব্যবহার করে মৃত কোষগুলি পরিষ্কার করুনঃ
ক্লিনজার ময়লা পরিষ্কার করে, তবে মৃত কোষ নয়। মৃত কোষগুলি মূলত তন্তুযুক্ত প্রোটিন কেরাটিনের সমন্বয়ে গঠিত, যা “কেরাটিনোসাইটস”(Keratinocytes) নামে পরিচিত।এগুলি ধীরে ধীরে ত্বকের উপরে উঠে যায় এবং ত্বকের বাইরের স্তরে পৌঁছায় এবং সেখানে তারা মারা যায় এবং মৃত কোষের বিভিন্ন স্তর তৈরি করে।যা “স্ট্রেটাম কর্নিয়াম” (stratum corneum) নামে পরিচিত যা অতিরিক্ত তেল তৈরি করে, পোরসগুলির মুখ আচকে দেয়, ব্রণ এবং আরও অনেক কারণ তৈরি করে যার জন্য ত্বকে এক্সফলিয়েট করাটা আবশ্যক।এর জন্য আপনারা ত্বকের উপযুক্ত এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব বেছে নিতে পারেন যা কোমল এবং মৃদু।এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব নির্বাচনের পরে তা আস্তে আস্তে ক্লকউয়াইজ সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন আপনার মুখ এবং ঘাড়ে প্রয়োগ করুন।
বরফ ঘসে নিনঃ
মেকআপের আগে একটি বরফ ঘসে নিন তাতে করে আপনার ত্বকের লোমকূপগুলু সংকুচিত হয়ে যাবে এবং পোরসগুলুর ভিতরে ময়লা প্রবেশ করবে না এবং আপনার স্কিন সুরক্ষিত থাকবে।তার সাথে সাথে আপনার মেকআপও স্থায়ী হবে অনেকক্ষণ।
সিরাম অ্যাপ্লাই করুনঃ
পরবর্তী পদক্ষেপ হল সিরাম প্রয়োগ করা, এতে আপনার ত্বকে ভিটামিন এবং অন্যান্য সক্রিয় উপাদানগুলিকে গভীরভাবে প্রবেশ করতে সহায়তা করে। সিরাম মূলত একটি খুব হালকা ময়েশ্চারাইজার যা আপনার ত্বকে শোষিত হয় এবং ত্বককে স্মুদ করে তোলে, পোরসগুলি কম করে,আর্দ্রতার মাত্রা বাড়ায় এবং বলিরেখার মতো বড় সমস্যাকে হ্রাস করে।মসৃণ ত্বকের জন্য ভিটামিন সি রয়েছে এমন সিরাম ব্যাবহার করলে অনেক উপকার পাবেন।
ময়শ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করুনঃ
একটি ভাল ময়শ্চারাইজার প্রয়োগ করুন যা এসপিএফ-যুক্ত এবং যা সারাদিন আপনার ত্বককে হাইড্রেশন প্রদান করে। তবে যদি আপনার ময়েশ্চারাইজারটি এসপিএফ-যুক্ত না হয়, তাহলে ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগের পরে সানস্ক্রিন প্রয়োগ করতে পারেন।এটি মেকআপ প্রয়োগের আগে তার জন্য একটি মসৃণ বেস হিসাবে কাজ করবে। নিজের ত্বক অনুসারে সঠিক ময়েশ্চারাইজারটি বেছে নিন।
অ্যাপ্লাই করুন একটি ভালো মানের প্রাইমারঃ
মেকআপ অ্যাপ্লাইয়ের আগে একটি ভালো মানের প্রাইমার অবশ্যই ব্যবহার করুন, প্রাইমার আপনার ত্বককে মেকআপ করার জন্য খুব সুন্দর একটা বেস তৈরি করে দিতে সাহায্য করে, সেইসঙ্গে আপনি যে ময়েশ্চারাইজারটি অ্যাপ্লাই করেছেন, সেটিকেও ধরে রাখতে সাহায্য করে।
Tags: makeup