সূচিপত্র
Toggleবাংলাদেশের কারুশিল্প-
কারুশিল্প হল একটি শিল্প যা কৃষি ও কারখানা সামগ্রী ব্যবহার করে বানানো হয়। বাংলাদেশে এই শিল্পের উন্নয়ন করা হচ্ছে বিশেষতঃ পাট ও পাটশিল্প এর মাধ্যমে। পাট একটি কৃষিপ্রধান উৎপাদন এবং এর উপযোগ পাটশিল্পে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করতে হয়। পাটশিল্পে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা হয় যেমন শাড়ি, ফতুয়া, রুমাল, জুতো সহ অন্যান্য পণ্য। পাট ও পাটশিল্প উন্নয়ন করে কারুশিল্পের মাধ্যমে রুপকল্পনা করা হয় যেমন তথ্য ও প্রযুক্তি, লেখা ও ছবি সহ অন্যান্য সৃষ্টিশীল কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
পাট ও পাটশিল্প এর বিভিন্ন ব্যবহার-
পাট ও পাটশিল্প এর ব্যবহার অনেকগুলো রয়েছে। একটি প্রধান ব্যবহার হল টেক্সটাইল উৎপাদন, অর্থাৎ শাড়ি, স্কার্ট, পাঞ্জাবী, ফতুয়া, রুমাল, চোখদানি, ভর্তি, ব্লাউজ, সাড়ির পল্লা এবং অন্যান্য প্রধান পাট তৈরি পণ্য। পাটশিল্প থেকে তৈরি পণ্যের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল তা শুকনো হলে সে একটি আদর্শ পরিবেশনা করে যাওয়া।
পাট ও পাটশিল্প ব্যবহার করে অন্যান্য প্রধান উৎপাদন এবং পণ্য তৈরি করা হয়, যেমন ছাদ, তাক, মাত, দেশি খাবারের তাট, টিকটকের স্তম্ভ, পাঠাগার কাঠ, দেশি আসন, ফালেন এবং বিভিন্ন ধরনের কাঠের ফার্নিচার ইত্যাদি।
পাট ও পাটশিল্প এর ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হল এনভায়রনমেন্ট। এই শিল্পের উন্নয়ন একটি ভালো উদাহরণ হল পাটের বাগান প্রস্তুতি এবং উন্নয়ন যার মাধ্যমে বাগানের বাঁচাই উন্নয়ন করা হয়। পাট ও পাটশিল্প এর ব্যবহার বিস্তারিত অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়।
বাংলাদেশে কারুশিল্পঃ
বাংলাদেশে কারুশিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে এই শিল্পের অন্যতম উন্নয়নের কারণ হল এর বিপুল উপস্থিতি এবং দক্ষ মানুষের সংখ্যা। কারুশিল্প একটি মোটামুটি ৫ লাখ মানুষের রোজগার সৃষ্টি করে এবং পাট ও পাটশিল্প এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য উৎপাদনের ব্যবসা ও পরিবেশ বান্ধব হওয়ার জন্য একটি সমন্বয়ক পাত্র পালন করে।
এছাড়াও কারুশিল্প দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ জীবনযাপনে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। পাট ও পাটশিল্প ব্যবহার করে তৈরি পণ্য পরিবারের উপযোগী এবং সাস্থ্যকর হওয়ার সাথে সাথে প্রকৃতির সংরক্ষণও হয়। এছাড়াও কারুশিল্প একটি দক্ষতা ও প্রযুক্তির সমন্বয় করে এবং এটি দেশে উন্নয়নের একটি উদ্যোগ হিসেবে পরিচিত।
সর্বশেষ, বাংলাদেশে কারুশিল্পের উন্নয়ন দেশের পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
কারুশিল্প শিল্পীদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান প্রসঙ্গে-
বাংলাদেশে এখন কারুশিল্প শিল্পীদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা কাজ করছে। এই প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাগুলি প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য নিম্নলিখিত কিছু ক্ষেত্রে কার্যকর হচ্ছেঃ
১। ডিজাইন ও প্রকৃতি সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ। কারুশিল্প শিল্পীদের জন্য এই প্রশিক্ষণগুলি প্রদান করা হয় যাতে তারা নতুন ডিজাইন এবং প্রকৃতি তৈরির উপায় শিখতে পারেন।
২। প্রযুক্তি ও উপকরণ ব্যবহারের প্রশিক্ষণ। কারুশিল্প উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এই প্রশিক্ষণগুলি প্রদান করা হয় যাতে কারুশিল্প শিল্পীদের প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হতে পারেন।
৩। ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণ সম্পর্কে শিল্পীদের ব্যবসায়িক পরিচিতি এবং ব্যবসায়িক পরিচালনা শিখানো হয় যাতে তারা তাদের উৎপাদনকে পরিচালনা করতে পারেন।
৪। মার্কেটিং ও বিপণন প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণে কারুশিল্প শিল্পীদের মার্কেটিং স্ট্রেটেজি এবং বিপণন প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিখানো হয়।
এছাড়াও, বিভিন্নসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা, যেমন বাংলাদেশ কারুশিল্প কর্তৃপক্ষ (বিসিসি), বাংলাদেশ শিল্প কলা একাডেমি, বিশ্ব কারুশিল্প একাডেমি এবং বিভিন্ন খাতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কারুশিল্প শিল্পীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে।
এছাড়াও, বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা কারুশিল্প শিল্পীদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এসব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কারুশিল্প শিল্পীদের প্রকৌশল এবং ব্যবসায়িক প্রচেষ্টাগুলি উন্নয়ন করা হয়।
বাংলাদেশে কারুশিল্পের উন্নয়ন করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপঃ
বাংলাদেশে কারুশিল্পের উন্নয়ন করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারেঃ
১। কারুশিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তি ও দক্ষতা উন্নয়ন করা। দক্ষ মানুষ প্রশিক্ষণ দেওয়া, প্রযুক্তি উন্নয়ন করা এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
২। আধুনিক উপকরণ এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে কারুশিল্পের উন্নয়ন করা। একটি উন্নয়নশীল এবং দক্ষ কারুশিল্প শিল্পী দক্ষতার পাশাপাশি আধুনিক উপকরণ ব্যবহার করে তাদের উৎপাদনকে বৃদ্ধি করতে হবে।
৩। পাট ও কারুশিল্পের উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ এবং ঋণ সুবিধা প্রদান করা। এটি কারুশিল্প শিল্পীদের সমর্থন করে তাদের প্রতিষ্ঠান বা উৎপাদন সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে।
৪। কারুশিল্পের উন্নয়নের জন্য বিদেশী ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা। বিদেশী ব্যবসায়ীদের আবেদনের সাথে সাথে কারুশিল্প শিল্পীদের জন্য কাজ সৃষ্টি হবে এবং উন্নয়ন হবে।
৫। কারুশিল্পের উন্নয়নের জন্য সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করা। তাদের মধ্যে সমন্বয় সংস্থা গঠন করে কারুশিল্পের উন্নয়ন সম্পর্কে আলোচনা করে এবং সমস্যাগুলি সমাধান করে একটি উন্নয়নশীল কারুশিল্প উন্নয়ন করতে হবে।
এছাড়াও কারুশিল্পের উন্নয়ন করার জন্য সাধারণ জনগণের সচেতনতা উন্নয়ন করা দরকার। সাধারণ জনগণের মাধ্যমে কারুশিল্প উৎপাদনকে সমর্থন করে এবং এর বিপুল উপস্থিতি ও মানসম্পন্নতা সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
সরকার কারুশিল্পের জন্য কর ও অন্যান্য ট্যাক্স প্রদান করে এবং একটি উন্নয়নশীল ও ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টি করে যাতে কারুশিল্প শিল্পীদের সমর্থন করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ কারুশিল্পের উন্নয়নের জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপঃ
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার কারুশিল্পের উন্নয়নের জন্য নিম্নলিখিত কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেঃ
১। বিনামূল্যে কারুশিল্প শিল্পীদের একটি প্রশিক্ষণ প্রকল্প চালু করা হয়েছে যাতে শিল্পীদের প্রযুক্তি এবং ব্যবসায়িক প্রচেষ্টার উন্নয়নে সহায়তা করা হয়।
২। বাংলাদেশ কারুশিল্প কর্তৃপক্ষ (বিসিসি) একটি পর্যবেক্ষণ প্রকল্প চালু করেছে যাতে কারুশিল্প উৎপাদনের অবস্থা এবং উন্নয়নের সামগ্রী উন্নয়ন করা হয়।
৩। বাংলাদেশ শিল্প কলা একাডেমি একটি কারুশিল্প উন্নয়ন প্রকল্প চালু করেছে যাতে কারুশিল্প শিল্পীদের জন্য কিছু প্রশিক্ষণ এবং উন্নয়ন প্রদান করা হয়।
৪। বাংলাদেশ সরকার কারুশিল্পের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেমন কারুশিল্প উৎপাদনের জন্য বিশেষ ঋণ প্রদান, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কারুশিল্প শিল্পীদের সহায়তা করা, উন্নয়নের সামগ্রী প্রদান করা ইত্যাদি।
৫। কারুশিল্প উন্নয়নের জন্য কয়েকটি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে, যেমন কারুশিল্প মেলা, কারুশিল্প উৎসব, কারুশিল্প প্রদর্শনী ইত্যাদি। এসব কার্যক্রম কারুশিল্প উৎপাদনের সম্ভাবনাকে বাড়ানোর জন্য একটি প্রভাবশালী মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।
এছাড়াও, বাংলাদেশ সরকার বিদেশী বিনিয়োগের সাথে কারুশিল্পের জন্য একাধিক সমন্বয় চালু করেছে যাতে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণীয় হয়।
এছাড়াও, বাংলাদেশ সরকার কারুশিল্পের উন্নয়নে প্রাথমিক বিষয়গুলির মধ্যে কারুশিল্প শিল্পীদের সুবিধাজনক ব্যবসায়িক পরিচালনা ও উন্নয়ন সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করছে। এই সম্পর্কিত তথ্য শিল্পীদের উন্নয়নে সহায়তা করে এবং কারুশিল্প উৎপাদনের মান উন্নয়নে সাহায্য করে।
কারুশিল্পের উন্নয়ন করার জন্য আমার করণীয় কী ?
আপনি কারুশিল্পের উন্নয়নে অবদান রাখতে চাইলে নিম্নলিখিত করণীয়গুলি করতে পারেনঃ
১। কর্মসংস্থান তৈরি করুনঃ আপনি নিজেকে বাংলাদেশের কারুশিল্প উন্নয়নের জন্য প্রস্তুত করতে পারেন এমন একটি কর্মসংস্থান যাতে আপনি স্থানীয় কারুশিল্প শিল্পীদের পক্ষে কাজ দিতে পারেন। এটি অধিকতর ছোট ব্যবসার জন্য কাজ করবে।
২। স্থানীয় কারুশিল্প উৎপাদকদের সঙ্গে সমন্বয় করুনঃ আপনি স্থানীয় কারুশিল্প উৎপাদকদের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারেন এবং তাদের উৎপাদনকে পরিবর্তন করতে পারেন যাতে তাদের উৎপাদনটি বিক্রয়যোগ্য হয়।
৩। কারুশিল্প উৎসব এবং প্রদর্শনীতে অংশ নিনঃ আপনি স্থানীয় কারুশিল্প উৎপাদকদের প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পারেন যাতে তাদের উৎপাদন বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত হতে পারে।
৪। ইন্টারনেট ব্যবহার করুনঃ আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনার কারুশিল্প উৎপাদনকে আরও বিক্রয়যোগ্য হতে সাহায্য করতে পারেন। বিভিন্ন ই-কমার্স ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনার উৎপাদন বিক্রয় করতে পারেন।
৫। কারুশিল্প উন্নয়নের জন্য প্রযোজনীয় সম্পদ সরবরাহ করুনঃ যদি আপনার সম্পদ থাকে যা কারুশিল্প শিল্পীদের জন্য প্রযোজন তবে আপনি তা সরবরাহ করতে পারেন। যেমন, আপনি যদি একটি কারুশিল্প শিল্পস্থল তৈরি করতে পারেন তাহলে সেটি কারুশিল্প শিল্পীদের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬। শিক্ষামুলক প্রশিক্ষণ প্রদান করুনঃ কারুশিল্প শিল্পীদের জন্য শিক্ষামুলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন।
৭। সরকারের সাহায্য চাইঃ অবশ্যই আপনি সরকারের সাহায্য চাইতে পারেন। সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া থাকে যা কারুশিল্প উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি সরকারের সম্মানিত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন যাতে আপনার কার্যক্রমে সরকারি সাহায্য প্রযোজনীয় হয়।
এই উপায়গুলি একত্রিত করে আপনি কারুশিল্পের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন।
Useful Links
Office Address
Store 10, SKS Tower, Mohakhali,Dhaka 1206, Mob:01300535353 Tel:01300545454 savershallltd@gmail.com
Our Map Location
Copyright©2023. Savers Hall. All Rights Reserved.