সূচিপত্র
Toggleবাংলা নববর্ষ

বাংলা নববর্ষ হল বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন। এই দিনটি সাধারণতঃ বৈশাখ হিসাবে পরিচিত। এটি বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরা রাজ্যে উৎসব হিসাবে পালিত হয়।
বাংলা নববর্ষ সাধারণতঃ পহেলা বৈশাখ নামে পরিচিত। এই দিনটি সাধারণতঃ সমস্ত বাঙালি জাতির জন্য বড় উৎসব হিসাবে পালিত হয়। বাংলা নববর্ষ উপস্থাপিত হয় সমস্ত বাঙালি জাতির উৎসাহ ও উল্লাস উপস্থাপন করার জন্য।
এই দিনে বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য উপস্থাপন করা হয়। সাধারণতঃ এই দিনে ভক্তিগীতি ও রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনা হয়। পাহাড়ি বাউল সঙ্গীত, বাংলা নাচ এবং বাংলা সিনেমার প্রদর্শনী সাধারণতঃ এই দিনে উপস্থাপিত হয়।.
ঈদ আনন্দ

ঈদ দিনগুলি মুসলিম সমাজের সবচেয়ে উল্লাসময় দিনগুলি হিসাবে পরিচিত। এই দিনগুলি সমাজের মধ্যে ভালবাসা, সমঝোতা এবং সংস্কৃতির অনুষ্ঠান হিসাবে মনে রয়েছে।
মুসলিমদের ঈদ ২ টি ১.ঈদ-উল-ফিতর ২.ঈদ-উল-আযহা নামে পরিচিত।
ঈদ দিনগুলি সাধারণতঃ পারিবারিক উপহারদান এবং মিষ্টি দিয়ে উল্লাস উপস্থাপন করা হয়। সাধারণতঃ মুসলিম পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের সঙ্গে মিষ্টি ভাগ করে খাওয়া হয়। আর ঈদ নামাজ হল একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সাধারণতঃ সকালে বিশেষ দোয়া পড়ে উপস্থাপিত হয়।
সাধারণতঃ ঈদ দিনগুলি মুসলিম সমাজের মধ্যে বড় উল্লাসের দিন হিসাবে পালিত হয় এবং সমস্ত মুসলিম ভাইবোনের জন্য শুভেচ্ছা ও দোয়া করা হয়।
পূজার সাজসজ্জা

পূজা হলো হিন্দু ধর্মের একটি উৎসব যা সাধারণতঃ দুটি মুখ্য উৎসব দুর্গা পূজা এবং কালী পূজা নামে পরিচিত। এই পূজার সাজসজ্জা হল একটি মূল অংশ। পূজার সাজসজ্জা সাধারণতঃ
পূজার মন্ডপের সাজসজ্জা এবং পূজার সময় ব্যবহৃত পদার্থ সম্পর্কিত। পূজার মন্ডপের সাজসজ্জা হল একটি সুন্দর ও সম্মত জায়গা তৈরি করা, যেখানে দেবী-দেবতার মূর্তি রাখা হয়। এছাড়াও পূজার সময় ব্যবহৃত পদার্থ হল ফুল, পাতা, ফল, দ্রব্য এবং স্বর্ণ এবং পাথর ইত্যাদি।
পূজার সাজসজ্জা সাধারণতঃ পূজার মন্ডপে রঙিন পশম দিয়ে সাজানো হয়। এছাড়াও পূজার মন্ডপে ফুল এবং ভিন্ন ধরনের পাতা দিয়ে সাজানো হয়। সাধারণতঃ পূজার মন্ডপে স্বর্ণ এবং পাথর দিয়ে সাজানো হয় যাতে মন্ডপের সুন্দরতা আরও বাড়ানো যায়।
সোনামনিদের বসন্ত

সোনামনিদের বসন্ত হলো বাংলা সংস্কৃতির একটি প্রাচীন উৎসব যা প্রথম বৈশাখ মাসে উদযাপিত হয়।
সোনামনিদের বসন্ত উৎযাপন করার সময় বাংলা সংস্কৃতির অনেক সুন্দর উপহার দেওয়া হয়। সাধারণতঃ এই উপস্থাপনে সোনামনিদের ফুল সম্পর্কিত উপহার দেওয়া হয়। এছাড়াও সেই উপহারের মধ্যে আছে পাতা, ফল, ফুলসম্পর্কিত মুদ্রণ, প্রকাশনা ইত্যাদি।
সোনামনিদের বসন্ত উপস্থাপনে বিভিন্ন নৃত্য এবং সংগীতের আয়োজন করে সেই উপস্থাপনের উৎসবটি পার্বণ করা হয়। সম্পূর্ণ ভাবে বসন্ত উৎসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক একটি উৎসব যা বাংলাদেশ এবং ভারতের অনেক মানুষের জীবনের একটি অংশ হিসেবে প্রচলিত।
পহেলা ফাল্গুনের সাজসজ্জা

এই মাসে সাধারণতঃ আবহাওয়া উষ্ণ হয় এবং ফুলের ক্রয় এবং প্রদর্শনী ব্যবসা উন্নয়ন পায়। পহেলা ফাল্গুনের সাজসজ্জা সাধারণতঃ সেই পাতাল পাঁচফোঁটা পুতুল ব্যবহার করে উদ্যোগ করা হয়। এই পুতুলগুলি সাধারণতঃ আবহাওয়া উষ্ণ হলে আবহাওয়া তাপমাত্রা কমতে শুরু করে এবং পুতুলগুলি পানির সাথে উঠিয়ে নেওয়া হয়।
পহেলা ফাল্গুনের সাজসজ্জা একটি সুন্দর উপলক্ষ্য, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক একটি প্রদর্শনী হিসেবে পরিচালিত হয়। এটি বাংলাদেশ এবং ভারতের অনেক স্থানে উৎসব হিসেবে প্রচলিত।
ভ্যালেন্টাইন'স ডে

ভ্যালেন্টাইন’স ডে হল একটি উদ্বিগ্নতাপূর্ণ উপলক্ষ্য যা প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে প্রচলিত হয়। এটি প্রথমবার উত্তর আমেরিকায় লাভের উপহারের উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এটি বিশ্বজনিত হয় এবং এটি একটি প্রেম এবং স্নেহের উপলক্ষ্য হিসেবে প্রচলিত হয়। এই দিনে ব্যক্তিগত উপহার এবং পাঠক উপহার দেওয়া হয়। সাধারণতঃ এই উপহার হিসেবে ফুল, চকোলেট, কার্ড ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও ভ্যালেন্টাইন’স ডে সাধারণতঃ কেউ কেউ এই দিনটি উপলক্ষে সামাজিক সম্মেলন বা উদ্যোগ নেয়। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং প্রতিষ্ঠানে এই দিনটি উপলক্ষে স্পেশাল ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।

পহেলা ফাল্গুনে মেয়েদের সাঁজগোজ
পহেলা ফাল্গুনে মেয়েদের সাঁজগোজের বর্ণনাঃ
পহেলা ফাল্গুন বাংলাদেশের একটি উৎসব যা সাধারণতঃ ফেব্রুয়ারি মাসে পালিত হয়। এই উৎসব মেয়েদের সাঁজগোজ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পহেলা ফাল্গুনে মেয়েদের সাঁজগোজ বিভিন্ন রঙের হতে পারে। সাধারণতঃ লাল, হলুদ, কালো এবং সবুজ রঙের সাঁজগোজ বেশি পছন্দ করা হয়।
মেয়েদের সাঁজগোজ বিভিন্ন আকৃতিতে হতে পারে, যেমন প্লেট, ঘাঘরা, শালওয়ার ইত্যাদি। আম ফুলের মতো একটি ভালোবাসা প্রদর্শন করার জন্য মেয়েদের সাঁজগোজ বেশি পছন্দ করা হয়।
পহেলা ফাল্গুনে মেয়েদের সাঁজগোজ পরিচালনার জন্য বিভিন্ন স্থানে স্পেশাল প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। মেয়েদের সাঁজগোজের কাজে বিশেষজ্ঞ স্থানীয় করিগর ও ডিজাইনাররা নিয়োজিত হয় যারা মেয়েদের সাঁজগোজ তৈরি করে থাকেন।
সামাজিক দিক থেকে পহেলা ফাল্গুনে মেয়েদের সাঁজগোজ একটি সম্পূর্ণ সংস্কৃতিক পরিবেশনা। এই দিনটি সম্পূর্ণ পরিবেশন করে থাকা হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং প্রাচীন সংস্কৃতির একটি প্রতীক। পহেলা ফাল্গুন অনেক পর্যায়ে উৎসাহের সাথে পালন করা হয়।
এই দিনে বাঙালি মেয়েদের পরিমার্জন হলে স্বাস্থ্যকর এবং শুভ হয়। মেয়েদের জন্য উপযুক্ত সাজ-সজ্জা হল শাঁশী কাঁথা কাপড় দিয়ে তৈরি করা শাঁটি, লাল বা হলুদ রঙের সাড়ি এবং গোলদাস পরিহার। পাথন, কান বালা, লাল লিপস্টিক এবং চুলে ফুল ব্যবহার করা হয়।
পহেলা ফাল্গুনে মেয়েদের সাঁজগোজ পরিমার্জন করার পাশাপাশি সেই দিনে বাঙালি মেয়েদের পালন করা একটি বিশেষ খাবার হল পুঁইশাক এবং হিংসা মাংসের ভাজা। এছাড়াও মিষ্টি হিসেবে রসগোল্লা, পান্থা পিঠা এবং মালপোয়া সর্বদা পহেলা ফাল্গুনের খাবারের লিস্টে থাকে।

ফাল্গুনের প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত ?
ফাল্গুনের প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত ?
ফাল্গুন বাংলা ক্যালেন্ডারের ছট্টা মাস এবং সেই মাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়। ফাল্গুনের প্রস্তুতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং উত্সাহপূর্ণ। নিম্নলিখিত কিছু টিপস মনে রাখলে ফাল্গুনের উদযাপন আরো সুন্দর ও সমৃদ্ধ হতে পারে:
১. গৃহস্থালী পরিস্কার করুন: ফাল্গুনে বাংলাদেশে ঝড় ও বৃষ্টি হয় এবং একই সাথে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তাই এই দিনে আপনার ঘর সাফ সাফ রাখতে হবে। ঘরের বাইরে ফুল ও গাছ লাগানো যেতে পারে।
২. সাজসজ্জা করুন: ফাল্গুনের উদযাপনের দিনে মেজাজ খুবই উত্সাহপূর্ণ হয়। তাই আপনি নিজেকে সাজিয়ে নিতে পারেন। পশাকের নির্বাচনে লাল বা হলুদ রঙের সাড়ি এবং শাঁটি পরিহার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. খাবার পরিমার্জন করুন: ফাল্গুনের উদযাপনের দিনে বাঙালি খাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনি পুঁইশাক এবং হিংসা মাংসের ভাজা খেতে পারেন। এছাড়াও মিষ্টি খাবারের লিস্টে রসগোল্লা, পান্থা পিঠা এবং মালপোয়া আছে।
৪. উৎসবে অংশগ্রহণ করুন: ফাল্গুনের উদযাপনে নাচ ও গানের উৎসব হয়। আপনি উপযুক্ত স্থানেযেতে পারেন এবং উত্সাহে উপস্থিত থাকতে পারেন। এছাড়াও আপনি স্থানীয় বাউল সংগীত শোনতে পারেন এবং একটি সাধারণ মেলা সম্পন্ন করতে পারেন।
৫. ফুল ও পাতা বিতরণ করুন: ফাল্গুনে ফুল ও পাতা বিতরণ করা হয়। আপনি আপনার সম্পর্কজনদের ফুল ও পাতা উপহার দিতে পারেন।
এছাড়াও আপনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি, যেমন দান ও চারিত্রিক কর্মসূচি সম্পন্ন করতে পারেন। ফাল্গুনের উদযাপন সবসময় হার্দিক উপলক্ষ্যে পালন করা হয়।

পহেলা ফাল্গুনে অন্য কোন প্রতীকমূলক কাজ করা হয়?
পহেলা ফাল্গুন বাংলাদেশের একটি প্রধান উত্সব এবং এটি বিভিন্ন প্রতীকমূলক কাজ করা হয়। কিছু প্রধান প্রতীকমূলক কাজ হলো:
১। বাসন্ত উৎসবে ফুল উত্সব পালিত হয়। এই উৎসবে সমস্ত বাংলাদেশের লোক ফুলের উপহার একসাথে দেয়া হয়।
২। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক উপহার হিসেবে পহেলা ফাল্গুনে বাংলাদেশের প্রাচীন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য উপহার হিসেবে প্রদর্শিত হয়।
৩। পহেলা ফাল্গুন একটি সামাজিক উৎসবে এবং এটি বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি পরিচালনা করে যা সমাজ ও সংস্কৃতির উন্নয়নে সহায়তা করে।
৪। উৎসবে মেলা ও বিভিন্ন খেলাধুলা আয়োজিত হয় যেখানে সমস্ত বাংলাদেশী একসাথে উৎসবে উপভোগ করেন।
৫। উৎসবে বিভিন্ন সংগীত ও নৃত্য আয়োজিত হয় যা বাংলাদেশের স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন।
৬। পহেলা ফাল্গুন একটি ধর্মীয় উৎসবে হিসেবে প্রদর্শিত হয়। এই দিনটি হিন্দুদের জন্য সর্বাধিক পবিত্র দিন হিসেবে গণ্য করা হয়।
এসব প্রতীকমূলক কাজ পহেলা ফাল্গুনে করা হয় যাতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি সমর্থন দেওয়া যায়। এছাড়াও এই উৎসবে একটি সামাজিক উৎসবে হিসেবে পরিচালিত হয় যাতে সমস্ত বাংলাদেশী একসাথে উৎসবে উপভোগ করেন।
Useful Links
Office Address
Store 58, Ground Floor, SKS Tower,7 VIP Road, Mohakhali, Dhaka 1206
Mob:01300535353 Tel:01300545454 savershallltd@gmail.com
Our Map Location
Copyright©2023. Savers Hall. All Rights Reserved.