ত্বক ক্যান্সার

March 18, 2023
ত্বক ক্যান্সার
Spread the love

ত্বক ক্যান্সার হলো একটি জ্বরবহুল রোগ যা ত্বকের সেলগুলির অসম্পূর্ণ ও অবিকল উন্নয়নের ফলে উত্পন্ন হয়। একজন ব্যক্তি ত্বক ক্যান্সারে ভুগছে তখন তার ত্বকের সেলগুলি অসম্পূর্ণ ও অবিকল উন্নয়নের সাথে সাথে বিস্তার পায়।

 

কি কি কারণে ত্বক ক্যান্সার হয় ?

ত্বক ক্যান্সার হতে পারে একাধিক কারণের ফলে। নিম্নলিখিত হল কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলোঃ

১.বেশি সূর্যালোকে ভুগছেন। সূর্যের আলো ত্বক সেদ্ধ করতে পারে এবং এটি ত্বকের গঠন পরিবর্তন করতে পারে, যা ত্বকের ক্যান্সার উদ্ভবের জন্য বিশেষ ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

২.নিঃশ্বসন করা ধূমপান করা। ধূমপান করা ক্যান্সারের একটি প্রধান কারণ হিসাবে মনে হয়। যেমন সিগারেট ধূমপান করা ত্বকের সাথে লগাতার সম্পর্কিত হয়, যা ত্বকে ক্যান্সার উদ্ভবের ঝুঁকি বাড়ায়।

৩.পরিবেশের কিছু ক্যারসিনোজেন মাদক। ক্যারসিনোজেন মাদক হল এমন মাদক যা ত্বকের সাথে সম্পর্কিত হয় এবং ক্যান্সার উত্পন্ন করতে পারে, যেমন বেগুনি, আর্সেনিক, নাইট্রোজেন মুক্ত পণ্য ইত্যাদি।

৪.উচ্চ গ্লুকোজ স্তর। উচ্চ গ্লুকোজ স্তর থাকলে ত্বক ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

৫.পরিবেশে ক্ষতিগ্রস্ত কেমিক্যালস। পরিবেশে কোনো কেমিক্যালস থাকলে তা ত্বকের উপর দুষ্পরিণাম ফেলতে পারে এবং ক্যান্সারের উদ্ভবের ঝুঁকি বাড়ায়।

৬.আদর্শহীন খাদ্য ও জীবনসম্পন্ন জীবনযাপন। নিয়মিত খাবারে সব প্রকার পুষ্টিকর উপাদান না থাকলে ত্বক অতিরিক্ত জীর্ণ হয়ে যায় এবং ত্বক ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

৭.পরিবেশের ফোগের ঝুঁকি। বিভিন্ন ফোগের ঝুঁকি ত্বকের উপর দুষ্পরিণাম ফেলতে পারে এবং ক্যান্সারের উদ্ভবের ঝুঁকি বাড়ায়।

এইভাবে বিভিন্ন কারণে ত্বক ক্যান্সার হতে পারে। একজন ব্যক্তি যখন এই ঝুঁকিগুলোর সম্মুখীন থাকেন, তখন তার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়।


ত্বক ক্যান্সার প্রতিরোধে কি কি খাবার খেতে হবে?

ত্বক ক্যান্সার প্রতিরোধে সঠিক খাবার খেতে হবে এবং পরিবেশের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। নিম্নোক্ত খাবার পদার্থগুলো খেলে ত্বক ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যেতে পারেঃ

১.প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে ফল এবং সবজি খেতে হবে। এটি আপনার শরীরের প্রতিরক্ষা বাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

২.তেলের পরিমাণ কম রাখতে হবে। বেশি তেল খাওয়া ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ সংরক্ষণ করার জন্য অল্প পরিমাণে তেল ব্যবহার করা উচিত।

৩.গ্লুটেন ফ্রি খাবার খেতে হবে। গ্লুটেন ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। সবুজ শাক এবং গরুর মাংস সমেত অন্যান্য খাবার পদার্থ খেতে হবে যা গ্লুটেন ফ্রি হয়।

৪.ক্যাফিন এবং আলকোহল সীমাবদ্ধ করতে হবে। ক্যাফিন এবং আলকোহল ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

৫.সুস্থ কার্বোহাইড্রেট খাবার খেতে হবে। সুস্থ কার্বোহাইড্রেট সেবন করা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। অপশন হিসাবে সুস্থ কার্বোহাইড্রেট যেমন সূক্ষ্ম অণুসম্পন্ন সবধরণের খাবার যেমন সূক্ষ্ম অণুসম্পন্ন খাদ্য, ব্রাউন রাইস, ওটস, সবুজ শাক, ডাল, ফল ইত্যাদি হতে পারে।

৬.পরিমিত পরিমাণে সফল খেতে হবে। প্রতিদিন বেশি পরিমাণে খেলে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। বরং সঠিক পরিমাণে খেলে ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নয়ন হয়।

৭.সজীব থাকতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করে স্বাস্থ্যকর থাকা সম্ভব। এছাড়াও নিয়মিত নিদ্রা পান এবং স্ট্রেস কম করতে হবে।

এছাড়াও, বিভিন্ন পরিবেশে রয়েছে ত্বক ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ানো কিছু কারক যেমন ধূমপান, বিতর্কিত ধূলসমূহ এবং সূর্যের ক্রমবর্ধমান আলোকতা। এগুলো থেকে দূরে থাকা এবং সতর্ক থাকা উচিত।

এইভাবে উপরোক্ত খাবার পদার্থ খেলে ত্বক ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যাবে। তবে, ত্বক ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকতে পারে এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কোন নিশ্চিততা নেই। তাই নিয়মিত চেকআপ করা উচিত।

 

ত্বক ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য কিছু পরামর্শ নিম্নলিখিতঃ

১.ধূমপান এবং তরল পানির ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। ধূমপান এবং তরল পানির ব্যবহার ত্বক ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

২.সূর্যালোকে থাকার সময় সুনিশ্চিত করুন যে আপনি সুরক্ষিত। সূর্যালোকে থাকার সময় সুন্দর সুরক্ষা ব্যবস্থা নিন। সূর্যালোক ত্বক ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

৩.নিয়মিত চেক-আপ করা করুন। নিয়মিতভাবে ত্বক পরীক্ষা করতে হবে এবং ডাক্তারের সাথে নিয়মিতভাবে সন্ধান করতে হবে যদি আপনি কোন জ্বলজ্জাল বা পারদর্শী কোন অংশ চেহারা করতে না পারেন।

৪.পর্যালোচনা করুন আপনার অভিজ্ঞতার সাথে যখন আপনি সুষম ত্বকে এবং একটি ভার্চুয়াল চেক-আপ সার্ভিসে থাকছেন যেখানে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আপনার ত্বক স্ক্রীন করবেন এবং আপনার ত্বক সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যা সনাক্ত করবেন।

 
ত্বক ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা উচিতঃ

১.ক্যান্সারের প্রথম স্টেজে থাকলে সাধারণতঃ চিরস্থায়ী করে কিছু স্থানীয় চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

২.ক্যান্সারের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্টেজে থাকলে ক্যান্সার একটি সম্পূর্ণ কাটাকুটি প্রদান করা হয় যা ক্যান্সারের সেলগুলি সম্পূর্ণ মুছে ফেলতে সক্ষম।

৩.ক্যান্সারের উচ্চতর স্তরে থাকলে কিমুতেরাপি এবং প্রতিক্রিয়া মধ্যে সম্পূর্ণ কার্যকর হতে পারে।

এই সমস্যার সমাধান একটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা উচিত।

Toner

ত্বকের ধরণ অনুযায়ী কি Toner ব্যবহার করা উচিত ?

ত্বকের ধরণ অনুযায়ী টোনার ব্যবহার করা উচিত বা না উচিত তা সাধারণত ত্বকের প্রকৃতি এবং টোনারের উপস্থিতি এবং কখন এবং কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে সেটি উপর নির্ভর করে।

ত্বকের ধরণ অনুযায়ী টোনার ব্যবহার করার কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:

  1. ত্বকে তেজস্বী ঝিল্লিত এবং মসৃণ হলে টোনার ব্যবহার করা উচিত। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তরলতা অপসারণ করবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।

  2. ত্বকে তেজস্বী নয় কিন্তু ত্বকের তন্দ্রা বা মুক্ত অঞ্চলে অতিরিক্ত তরলতা থাকলে টোনার ব্যবহার করা উচিত। এটি ত্বকের পরিষ্কারতা বাড়ানোর সাথে সাথে ত্বকের ফেসটোন সমূহ নিষ্ক্রিয় করবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।

  3. ত্বকে তেজস্বী না এবং তাপমাত্রা উষ্ণ না হলে টোনার ব্যবহার করা উচিত না হতে পারে। এই ক্ষেত্রে কোন একটি মিল্ড ক্লিনজিং লোশন বা ক্লিনজিং মিল্ক ব্যবহার করা উচিত হতে পারে।

  4. ত্বকের ঝিল্লি এবং তন্দ্রা উভয় উপস্থিত থাকলে একটি মাইসেলার টোনার ব্যবহার করা উচিত। এই ধরনের টোনার ত্বকের মুখের মেকআআপ এবং অন্যান্য মেকআপ উপস্থাপন থেকে মুক্তি দিবে এবং ত্বকের একটি গ্লোইং কমপ্লেকশন প্রদান করবে।

সাধারণত টোনার ত্বকের পরিষ্কারতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ত্বকের প্রকৃতি সম্পর্কে আপনার বোধশক্তি নির্ভর করে আপনি নির্দিষ্ট টোনার ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনার নির্দিষ্ট ত্বক ধরণ এবং সমস্যার উপর ভিত্তি করে টোনার বাছাই করা উচিত।

ত্বক সুন্দর করতে Soothing Gel কি কি ভূমিকা রাখে ?

Soothing Gel ত্বক সুন্দর করার জন্য বিভিন্ন ভূমিকা রাখতে পারে। নিম্নলিখিত হল কিছু ভূমিকা যা একটি soothing gel পাওয়া সম্ভব যা ত্বক সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর করতে সহায়তা করতে পারে:

১. ত্বকের শুষ্কতা দূর করা: সুন্দর ত্বকের জন্য ত্বকের শুষ্কতা দূর করা গুরুত্বপূর্ণ। Soothing Gel যেমন আলোভেরা জেল এমনকি গুল স্বচ্ছ ও শুষ্ক ত্বকে প্রয়োজনীয় পানি প্রদান করে এবং শুষ্কতা দূর করে।

২. ত্বকের সার্বিক স্বাস্থ্য বাড়ানো: Soothing Gel ত্বকের সার্বিক স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য সহায় হতে পারে। এটি ত্বকের পরিষ্কারতা বাড়ানো এবং ত্বকের ব্যাপক স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য উপযোগী হতে পারে।

৩. ত্বকের যৌবন বাড়ানো: কিছু soothing gel যেমন কামীলা জেল ত্বকের যৌবন বাড়ানোর জন্য সহায় হতে পারে। এই জেল ত্বকের স্বাস্থ্যকর এবং ত্বকের যৌবন বাড়ানোর জন্য উপযোগী হতে পারে।

৪. ত্বকের ঝিল্লি কমানো: কিছু soothing gel যেমন চামকপ্রজাপতি জেল ত্বকের ঝিল্লি কমানোর জন্য সহায় হতে পারে। এটি ত্বকের ঝিল্লি ও ত্বকের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং ত্বকের ক্ষতিকারক পরিণাম কমানসিক চাপ কমানো: কিছু soothing gel যেমন লেভেন্ডার জেল মানসিক চাপ কমানোর জন্য সহায় হতে পারে। এই জেল ত্বকের সাথে সাথে মনস্থিরতা বাড়ানো এবং মানসিক চাপ কমানোর জন্য উপযোগী হতে পারে।

এইভাবে, Soothing Gel একটি ব্যক্তির ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে সহায় হতে পারে। তবে, ত্বকের সমস্যা বা অসুস্থ ত্বকের জন্য সহজতর এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত হতে পারে।

Our Map Location


Spread the love
Tags: , ,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *